Walt Whitman’s Song of myself bangla summary
এই কবিতায় প্রথমেই কবি একটি শক্তিশালী সিম্বল ব্যাবহার করেছেন।আর সেইটি হচ্ছে, “I” ।এটি একটি শক্তিশালী শব্দ। আর এর দ্বারা কবি মূলত নিজে বোঝাননি বরং সকল আমেরিকাবাসীকে এবং সকল পৃথিবী বাসীকে বুঝিয়েছেন। আর এই কবিতায় তিনি নিজের বন্দনা করেছেন। নিজেকে উদযাপন করেছেন। আর নিজের উদযাপনের মাধ্যমে তিনি মূলত প্রত্যেক মানুষের উদযাপন করছেন, প্রত্যেক মানুষের বন্দনা করছেন।তিনি মনে করেন তিনি যে কথা গুলো বলছেন, তা প্রত্যেকটা মানুষেরই কথা, তিনি যা চিন্তা করছেন , তা প্রত্যেকটা মানুষেরই চিন্তা । কারন পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের রক্ত একই অনু পরমানু দিয়ে তৈরী, সকলের দেহ একই বাতাস ও একই মাটি থেকে গঠিত, সবাই একই পিতা মাতার সন্তান। কবি শুরুতেই বলেছেন, তিনি মূলত একজন ৩৭ বছর বয়স্ক সুঠাম যুবক, তিনি জীবনের শেষ পর্যন্ত এরকমই থাকতে চান। তিনি একটি ভ্রমন শুরু করেছেন, এই ভ্রমন তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে চান। তারপর কবি একটি ঘরের বর্ণনা করেছেন, যেখানে একটি আলমারিরর ভেতরে কিছু সুগন্ধী রাখা আছে, কবি নিয়ে এই সুগন্ধি থেকে সগন্দ নিচ্ছেন। কিন্তু কবি বুঝতে পারেন যে তিনি আসলে এই সুগন্ধ নেয়ার জন্যে প্রস্তুত নন। তারপর তিনি ইচ্ছা করেন নদীর ধারে যাবেন। যেখানে একটি বন রয়েছে, তিনি ইচ্ছা করেন সেখানে গিয়ে প্রকৃতির সাথে মিশে যাবেন। তিনি প্রকৃতির সবকিছু দেখবেন, সবকিছু শুনবেন, সব কিছু উদযাপন করবেন। সেখানে তিনি দেখলেন কিছু কথক কথা বলছে, কিন্তু কবি নিজে কোন কথা বলছেন না।তাইনি তাদের সাথে কোন বাকবিতন্ডায় যাচ্ছেন না। কবি অতীত আর ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবছেন না। বরং তিনি শুধু বর্তমান নিয়ে এবং বর্তমানে কি হচ্ছে তা নিয়ে ভাবছেন। তিনি বর্তমান থেকে অভিজ্ঞতা নিচ্ছেন। তিনি প্রকৃতির প্রতিটি নতুন এবং পুরাতন জিনিস জানছেন। প্রকৃতির প্রতিটি আবিষ্কার, প্রতিটি জিনিস তিনি অবলোকন করছেন। এরপর তিনি শরীর ও মনের কথা বর্ননা করেন। তিনি মনে করেন শরীর ও মন দুটি জিনিসই পবিত্র। তিনি তার মনকে আমত্রন জানান, তার সাথে হাটার জন্যে, ঘাসের উপর দিয়ে হেটে হেটে তার মন তাকে ঘুম পাড়াবে। এরপর কবি নিজের পোষাক খুলে ফেলার ইচ্ছা ব্যাক্ত করেন যাতে করে তার আত্মা তার ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। এতে করে তিনি শান্তি পাবেন। এই শান্তি মূলত সৃষ্টিকর্তার প্রতিজ্ঞা। এরপর তিনি একটি ঘটনা বর্ণনা করেন, যেখানে একটি বালক কিছু ঘাস নিয়ে এসে তার কাছে জিজ্ঞাসা করেন, এগুলো কি, কিন্তু কবি কোন জবাব দিতে পারেন না। পরে তিনি বলেন এগুলো হচ্ছে Handkerchief of god, আবার তিনি বলেন – The flag of disposition- স্বদেশের পতাকা। পরে তিনি বলেন এগুলো হচ্ছে সিম্বল অফ চাইল্ড এবং সিম্বল অফ অল হিউম্যান বিয়িংস। তিনি বলেন এই ঘাস গুলো যুবকদের দাড়ি থেকে , বৃদ্ধাদের চুলথেকে এবং বৃদ্ধদের দাড়ি গুলো থেকে বের হচ্ছে। এবং যারা মারা গিয়েছে তিনি তাদের কথা কল্পনা করেন। আর বলেন মৃত্যু এবং কল্পনার মাঝে পার্থক্য রয়েছে। এরপর কবি নিজেকে একজন নারী হিসেবে কল্পনা করেন, যেখানে তিনি নিজের বারান্দা থেকে সমুদ্রের তীরে গোসল করতে থাকা ২৮ জন পুরুষকে দেখছিলেন, কিন্তু তারা তা টের পাচ্ছিলো না। তিনি সেখানে যান এবং তাদের সাথে সমুদ্রের তীরে গোসল ও আনন্দ করেন কিন্তু তারা তাও টের পাচ্ছিলো না। এরপর তিনি একটি গ্রুপের কথা বর্ননা করেন যেখানে একটি কসাই বালক ছিল। আর গ্রুপটি কিভাবে কামারের কাজগুলো কত সুন্দরভাবে করছে তা বর্ননা করেন। এরপর তিনি বর্ননা করেন কৃষক কিভাবে কাজ করছে, কিভাবে অন্যান্য শ্রেণী পেশার মানুষ গুলো কাজ করে। এবং তিনি মনে করেন প্রকৃতির প্রতিটি উপাদান, প্রত্যেক শ্রেণী পেশার মানুষদের নিয়েই তার কবিতা। তাই তিনি প্রকৃতির উপাদান এবং সকল শ্রেণি পেশার মানুষের বন্দনা করেছেন। কবি নিজেকে একই সাথে বৃদ্ধ এবং যুবক দুইটাই মনে করেন। নিজেকে একই সাথে জ্ঞানী ও বোকা দুটোই মনে করেন। তিনি নিজের মাঝে মাতাসুলভ এবং পিতৃসুলভ আচড়ন খুজে পান। তিনি নিজেকে শুধু নিজ হিসেবেই পরিচয় দেন নাই, নিজেকে পরিচয় দিয়েছেন সম্পুর্ন আমেরিকা হিসেবে। তিনি নিজের মাঝে সম্পূর্ন আমেরিকা এবং সম্পূর্ন পৃথিবীবাসীদের খুজে পান। তিনি যে চিন্তা গুলো করেন তা শুধু আমেরিকাই নয়, তাসম্পূর্ন পৃথিবীবাসীর চিন্তার প্রতিফলন। কবি নিজেকে পৃথিবীর প্রত্যেকটি মানুষ হিসেবে, প্রত্যেকটি জাতী হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। symbols: ১। “I” – একটি সিম্বল- এর মাধ্যমে সমস্ত আমেরিকান এবং পৃথিবীবাসীদের বুঝিয়েছেন। ২। Grass – পৃথিবীর মানুষের আশা আকাঙ্খার প্রতীক। সৃষ্টিকর্তার রুমাল। স্বদেশের পতাকা। ঘাসের কূড়ি গুলো প্রকাস করে যে মৃত্যু বলে কিছু নেই। ৩। Body and Soul –body হল শারীরিক আনন্দের প্রতিক আর Soul আধ্যাতিকতার প্রতিক । ৪। Journey – এই সিম্বলের মাধ্যমে আত্মা তার পরিচয় ও সম্পর্ক খুজে পায় স্বর্গিয়তার সাথে । এর মাধ্যমে কবি জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি লাভ করেন. ৫।প্লান্ট ও এনিমাল – প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রতিক। ৬।হেভেনলি বডিস