Nun’s Priest’s Tales by Chaucer
– Summary and Context – নান’স প্রিস্ট’স টেলস – প্রসঙ্গ ও সারাংশ প্রসঙ্গ: নানস প্রিস্ট টেলস ট্যাবার্ড ইন থেকে যখন তীর্থযাত্রীরা রওয়ানা দেন তখন সড়াইখানার মালিক অর্থাৎ হ্যারি বেইলি কে আগে গল্প বলবেন সেটা নির্বাচনের জন্যে একটা পদ্ধতি চালু করেন। তিনি কিছু ঘাস হাতে নিয়ে তাদের সামনে ধরতে বলেন আর বলেন যে যিনি সবচেয়ে ছোট ঘাসটি ধরবে তাকেই প্রথম গল্প বলতে হবে। তখন সবচেয়ে ছোট ঘাসটি নাইটের হাতে পড়ে। নিয়ম মাফিক তিনি রাজা থিসিয়াসের একটি ঘটনা শুনান। এভাবেই চলতে থাকে। একসময় আমাদের ভিক্ষু সাহেব একটি গল্প শুনান। সেটি ছিল একজন শিকারী ও ঘোড়সওয়ারের লোভের কাহিনী। যদিও কাহিনীটা কারোই তেমন ভালো লাগে নি। তাদের বিরক্তির কথা সর্ব প্রথম নাইট মহোদয়ই বললেন। তারপর সবাই মুখিয়ে ছিলেন একটি ভালো শিক্ষামূলক গল্পের। এসময় হ্যারি বেইলী তাকে গল্প বলার জন্যে আবেদন জানান। নানস প্রিস্ট টেলসে উল্লেখিত সন্ন্যাসিনীর পুরোহিতের গল্প বলার পালা আসে দ্বিতীয় দিনে। তিনি মোরগ-মুরগি, শেয়াল নিয়ে একটি নীতিগযল্প পরিবেশন করেন। এটি Nun’s Priest’s Tale হিসেবে সংকলিত। হাস্যরস, কৌতুক আর নীতিকাহিনী মিলে এটি একটি উপকথা। মধ্যযুগে পশুপাখিদের নিয়ে বহু উপকথা প্রচলিত ছিল। পশুপাখিদের মধ্যে প্রায় ক্ষেত্রেই মানবিক গুণ আরোপ করে গল্পগুলোতে আনন্দ বেদনা আর অনাবিল হাস্য কৌতুক মিশ্রিত করে পরিবেশন করা হত। পুরোহিত মহোদয় পরিবেশিত গল্পটিও ঠিক একই চতুর ধূর্ত ও পাজি শেয়াল এবং দুটো মোরগ-মুরগি এবং মুরগিপালের পরিবার অবলম্বন করে গল্পটি রচিত। মোরগের নাম চন্টিক্লিয়ার আর তার রূপসী স্ত্রী মুরগিটির নাম মাদাম পার্টেলোট। মোরগটি একদল মুরগি আর তার পত্নী রূপসী মুরগি পার্টেলোটকে নিয়ে এক বিধবার খামারবাড়িতে আরামে দিন কাটাচ্ছিল। একদল মুরগির মাঝে মোরগটি রাজাধিরাজের মত দিনপাত করত। একদিন মোরগটি দুঃস্বপ্ন দেখল যে একটি প্রাণী তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। সে যন্ত্রণায় গো গো করে উঠতেই তার স্ত্রী পার্টেলোট তাকে রীতিমত গালমন্দ করল, মোরগটি তাকে স্বপ্নের কথা জানাতেই মুরগীটি তাকে নানাবিধ নীতিবাক্যসহ যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চাইল যে, স্বপ্ন তো স্বপ্নই । ওর কোনো মূল্য নেই, ওটা মোরগটির নিদ্রাহীনতা কিংবা বদহজমের ফল। পার্টেলোট তাকে যেসব মনীষী আর যেসব গ্রন্থ থেকে উদৃতি টেনে স্বপ্নের অসারতা প্রমাণ করতে চেয়েছে তাতে তাকে আর মুরগি বলে মনে হয় না। তখন তাকে মনে হয় একজন অভিজ্ঞ শিক্ষিত গিন্নি, যে গুণাবলি একমাত্র একজন শিক্ষিত রমণীর মাঝেই প্রকাশ পাওয়া সম্ভব। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, একদিন একটি শেয়াল ঠিকই চালাকি করে তাকে ধরে ফেলল, এবং মোরগটাকে টেনেহিচড়ে জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার পথে খামারের লোকজন শেয়ালটাকে তাড়া করলে, উর্ধ্বশ্বাসে পালাতে থাকে সে। তখন মোরগটা বুদ্ধি করে তার মুখ থেকে ছুটে পালিয়ে গাছে গিয়ে উঠে বসে। আর এদিকে মোরগটার আসন্ন মৃত্যু জেনে তার রুপসী স্ত্রী পার্টেলোট আগুনে ঝাপ দিয়ে নিজের জীবন বিসর্জন দেয়। মধ্যযুগীয় Beast Epic অর্থাৎ পশুপাখিদের নিয়ে রচিত নানা কাহিনী লোকসমাজে ব্যাপক আনন্দের জোগান দিত আর এর মাঝে যে নীতিকথা পরিবেশিত হত তার দ্বারা লোকসমাজ শিক্ষা গ্রহণ করত। চসারের ক্যান্টারবারি টেলসে সংকলিত এই উপকথা আরো মহিমান্বিত ও মানবিক গুণসম্পন্ন হয়ে ধরা দিয়েছে। মোক হিরোয়িক এপিকের পুরো লক্ষণ নিয়ে অগ্রসর হয়েছে এই কাহিনী। এখানে মোরগ-মুরগিকে কেন্দ্র করে যেন তৎকালীন মধ্যযুগীয় অভিজাত জীবনধারাকেই বিদ্রুপ করা হয়েছে। এখানে বিধবা রমণী যেমন দারিদ্র্যতার প্রতীক নিয়ে এসেছে তেমনি চন্টিক্লিয়ার এসেছে সমাজের অভিজাত জনদের ছায়া হয়ে। এখানে কিছু বিষয় ধরে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, স্বপ্ন: এখানে স্বপ্নকে স্বীকার এবং অস্বীকার দুটোই করা হয়েছে। স্বপ্নকে এখানে পার্টেলোট সাধারণ একটি বিষয় কিংবা এটা হজমের গোলমাল বলে উড়িয়ে দিয়েছে কিন্তু চ্যান্টিক্লিয়ার এটাকে অনিবার্য সত্যি একটা ব্যাপার বলে জোর দিয়েছে। এখানে চন্টিক্লিয়ারের অলস কর্মহীন স্বপ্নালু জীবনাচরণের দিকটি প্রকট হয়ে ওঠে। মানবিক দিক: চ্যান্টিক্রিয়ার আর পার্টেলোট যখন তর্কবিতর্কে মত্ত থাকে। তখন তাদের দুজনের মাঝে অভিজাত সমাজের স্বামী-স্ত্রীর বিতর্কের দিকটি যেন স্পষ্টরূপে ধরা দেয়। শেয়াল আর চ্যান্টিক্লিয়ারের কথোপকথনের মাঝেও চাতুরালি আর মানবিক আচরণ স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে। অভিজ্ঞতাঃ চন্টিক্লিয়ার আর পার্টোলেটের স্বপ্ন নিয়ে বিতর্কের মাঝে নানা লেখকের নানা উদ্ধৃতি এবং নানাজনের জীবনে ঘটে যাওয়া স্বল্প সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ের বহু উদ্ধৃতি আমরা লক্ষ করি। একজন অভিজ্ঞ পাঠক যেমন তার পঠিত নানা গ্রন্থ হতে উদ্ধৃতি প্রদান করে, তারা দুজনে সেভাবেই নানা উদ্ধৃতি ব্যবহার করতে থাকে । প্রেম-ভালোবাসা: দুটো মোরগ-মুরগির মাঝে আমরা যে দাম্পত্য প্রেম লক্ষ করি তাতে এ দুটোকে মোটেই মোরগ-মুরগি হিসেবে মূল্যায়ন করা সম্ভব হয় না। যেন মর্ত্য মানব-মানবী তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মাঝে নানা দাম্পত্য বিষয় নিয়ে আলাপচারিতায় মত্ত তারা।